গুরুগম্ভীর , গুরুচন্ডালের গৌরচন্দ্রিকা , ডা. মোশতাক আহমদ Mamunbd


গুরুগম্ভীর ,  গুরুচন্ডালের গৌরচন্দ্রিকা , ডা. মোশতাক আহমদ
গুরুগম্ভীর ,  গুরুচন্ডালের গৌরচন্দ্রিকা , ডা. মোশতাক আহমদ 

গুরুগম্ভীর! গুরুগণ সর্বদা গম্ভীরই থাকেন । হয়তো এভাবে শিষ্যদের মাঝে বিদ্যা বিতরণ সহজ হয়। কী জানি, আমি গুরু নই গম্ভীরতাও পছন্দ নয় । কিন্তু কিছু কথা গাম্ভীর্যের সাথে না বলিলেও চলে না । এ কৈফিয়ত এই জন্যে দিলাম যে, আজ যাহা বলিব তাহা আমার সদা হাস্যরস সমৃদ্ধ কথা বলার চেষ্টার অনেক বাহিরে । হতাশা বড় কঠিন রোগ । মানব ইতিহাস কখনো কি হতাশা মুক্ত ছিলো? বরং বরাবরই স্বপ্নবান কিছু মানুষ রহিয়াছিলেন যাহারা স্বপ্নকে অন্যের মাঝে ছড়াইয়া দিয়া সম্মুখ হইতে নেতৃত দিয়া হতাশার করালগাস হইতে এক টানে জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়া গিয়াছেন। অভিযোজন আর যোগ্যতমের স্থান করিয়া লইবার ধারায় মানব সম্প্রদায় এ জন্যেই এখনো টিকিয়া আছে। যে কারণে এই কথা বলা--আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ, ঘটমান বর্তমান আশেপাশে সকলের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়া চলিয়াছে প্রতিনিয়ত। 

ব্যক্তি আমি প্রচণ্ড আশাবাদী এবং তাহাই থাকিতে চাই। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাতে প্রতিবছর S.S.C,  H.S.C তে ফলাফলের উপর ভিত্তি করিয়া “অদম্য মেধাবী” নামে একটি কলাম ছাপা হয়। উঠিয়া আসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেই সব ছেলেমেয়েদের অবিশ্বাস্য সাফল্যের গাথা যাহাদের পিতা দিনমজুর, মা অন্যের বাসায় কাজ করে। আর উহারা গেরস্থালীর কাজ করিয়া আধাপেটা খাইয়া না খাইয়া “গোল্ডেন - এ' পাইয়া সবাইকে চমকাইয়া দেয় । আমি আরো চমকাইয়া উঠি যখন নাম না জানা অনেক সহৃদয় তাহাদের এক একজনের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়া নেন, তাহাদের নিজের নাম প্রচার বিমুখ থাকিয়া । এ বাংলার সন্তানই পাট ও ক্ষতিকর ছত্রাকের জিন রহস্য উন্মোচন করিয়া সারা বিশ্বকে চমকাইয়া দেন অবিশ্বাস্য দ্রুততায় । আর কী অবাক কাণ্ড! তার জন্যে মাসে নির্ধারিত লাখ লাখ টাকার বেতনের এক পয়সাও না নিয়া তাহা দিয়া ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্যে ল্যাবরেটরি সমৃদ্ধ করেন।

 “৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কি হতাশা ছিলো না? এরই মধ্যে বাবা-মাকে না জানাইয়া এই বাংলার দামাল কিশোর যুবা শহুরে গ্রাম্য শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা ছাড়াই মৃত্যুর আশঙ্কা দেখিয়া সেই অসমযুদ্ধে ঝাঁপাইয়া পড়ে । অবশেষে তাহারা গৌরবের বিজয় কী কাড়িয়া আনে নাই? হয়তো হতাশার অনেক কারণ অনেকে দেখাইতে চাহিবেন। ইতিহাস বলে সবাইকেই এই রকম সময় পাড়ি দিতে হইয়াছে, এরই মধ্যে জন্ম নিয়াছে সেই অদম্য মেধাবীরা । তাহাদের মধ্যে হইতেই খড়কুটা ধরিয়া সমুদ্র পাড়ি দিবার সাহস বুকে লইয়া বাংলা মায়ের কোনো দামাল এক স্বপ্নবাজ অবশ্যই একদিন আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিবেই দিবে । আধো ঘুম আধো জাগরণে স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের বিতাড়নে তাহার পায়ের আওয়াজ শুনিবার জন্য এই অধম কান পাতিয়া রহিয়াছি।

হতাশা বড় কঠিন রোগ । মানব ইতিহাস কখনো কি হতাশা মুক্ত ছিলো? বরং বরাবরই স্বপ্নবান কিছু মানুষ রহিয়াছিলেন যাহারা স্বপ্নকে অন্যের মাঝে ছড়াইয়া দিয়া সম্মুখ হইতে নেতৃত দিয়া হতাশার করালগাস হইতে এক টানে জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়া গিয়াছেন। অভিযোজন আর যোগ্যতমের স্থান করিয়া লইবার ধারায় মানব সম্প্রদায় এ জন্যেই এখনো টিকিয়া আছে। 

যে কারণে এই কথা বলা--আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ, ঘটমান বর্তমান আশেপাশে সকলের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়া চলিয়াছে প্রতিনিয়ত। ব্যক্তি আমি প্রচণ্ড আশাবাদী এবং তাহাই থাকিতে চাই। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাতে প্রতিবছর S.S.C,  H.S.C তে ফলাফলের উপর ভিত্তি করিয়া “অদম্য মেধাবী” নামে একটি কলাম ছাপা হয়। উঠিয়া আসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেই সব ছেলেমেয়েদের অবিশ্বাস্য সাফল্যের গাথা যাহাদের পিতা দিনমজুর, মা অন্যের বাসায় কাজ করে। আর উহারা গেরস্থালীর কাজ করিয়া আধাপেটা খাইয়া না খাইয়া “গোল্ডেন - এ' পাইয়া সবাইকে চমকাইয়া দেয় । আমি আরো চমকাইয়া উঠি যখন নাম না জানা অনেক সহৃদয় তাহাদের এক একজনের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়া নেন, তাহাদের নিজের নাম প্রচার বিমুখ থাকিয়া । 

এ বাংলার সন্তানই পাট ও ক্ষতিকর ছত্রাকের জিন রহস্য উন্মোচন করিয়া সারা বিশ্বকে চমকাইয়া দেন অবিশ্বাস্য দ্রুততায় । আর কী অবাক কাণ্ড! তার জন্যে মাসে নির্ধারিত লাখ লাখ টাকার বেতনের এক পয়সাও না নিয়া তাহা দিয়া ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্যে ল্যাবরেটরি সমৃদ্ধ করেন। “৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কি হতাশা ছিলো না? এরই মধ্যে বাবা-মাকে না জানাইয়া এই বাংলার দামাল কিশোর যুবা শহুরে গ্রাম্য শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা ছাড়াই মৃত্যুর আশঙ্কা দেখিয়া সেই অসমযুদ্ধে ঝাঁপাইয়া পড়ে । অবশেষে তাহারা গৌরবের বিজয় কী কাড়িয়া আনে নাই? হয়তো হতাশার অনেক কারণ অনেকে দেখাইতে চাহিবেন। ইতিহাস বলে সবাইকেই এই রকম সময় পাড়ি দিতে হইয়াছে, এরই মধ্যে জন্ম নিয়াছে সেই অদম্য মেধাবীরা । তাহাদের মধ্যে হইতেই খড়কুটা ধরিয়া সমুদ্র পাড়ি দিবার সাহস বুকে লইয়া বাংলা মায়ের কোনো দামাল এক স্বপ্নবাজ অবশ্যই একদিন আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিবেই দিবে । আধো ঘুম আধো জাগরণে স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের বিতাড়নে তাহার পায়ের আওয়াজ শুনিবার জন্য এই অধম কান পাতিয়া রহিয়াছি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url